‘কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন ২০১৮’ নামে বিলটি সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদে পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বিলে সমর্থন করে ফের যাচাই-বছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব দিয়ে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য।
এতোদিন নজরুল ইনস্টিটিউট ১৯৮৪ সালের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। আদালতের নির্দেশ এবং ওই অধ্যাদেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন করে বিলটি এনে পাস করা হয়।
পাস হওয়া আইনে বাছাই কমিটির সুপারিশ ও বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিবছর ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে নজরুল পুরস্কার প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। নজরুল সংগীত, সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া নজরুল গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পদক্ষেপের বিধান রয়েছে।
বিলে নজরুল ইনস্টিটিউট পরিচালনা বোর্ড সাত সদস্যের পরিবর্তে ৯ সদস্যের করার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সরকার মনোনীত একজন নজরুল বিশেষজ্ঞ তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি এবং নরুজল সৃষ্টি কর্মে নিয়োজিত চারজন ব্যক্তি এ বোর্ডের সদস্য থাকবেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটের একজন নির্বাহী পরিচালক থাকবেন।
বিলে বোর্ডের কার্যাবলী, বোর্ডের সভা, নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, ক্ষমতা অর্পণ, ইনস্টিটিউটের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, বার্ষিক প্রতিবেদন, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এসএম/জেডএস