সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের কাছে গিয়ে এ খবর নিয়ে গেলে বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হাবিবুর রহমানের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় লুসি হল্টকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
** নাগরিকত্ব পাচ্ছেন লুসি হল্ট
আবেগে উচ্ছ্বসিত লুসি হল্ট বলেন, ‘আমি আর কী বলবো বুঝতে পারছি না। এটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। অন্তর দিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবারর প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ তার সব সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাই। আমি এ ঘটনায় বেশ আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। ’
‘আমার শেষ ইচ্ছা এদেশের মাটিতেই যেন মৃত্যু হয় এবং এখানেই যেন সমাহিত হই। জন্ম-মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই আমরা বলতে পারি না। কখন হবে তাও জানি না। তবে যতদিন রয়েছি গরিব মানুষদের পাশে আরও বেশি থাকতে চাই,’ বলেন তিনি।
ডিসি হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নাগরিকত্বের কাগজপত্র শিগগির লুসি হল্টের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ১৫ বছরের ভিসা গ্রহণ করেন লুসি হল্ট। সম্পূর্ণ ফি মুক্ত ১৫ বছরের এ ভিসা দেওয়া হয়েছে তাকে।
তখনই তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়।
সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওইদিনের আশ্বাসের চারদিনের মাথায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় লুসি হল্টকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএস/জিপি