ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফারমার্সে ঋণ কেলেঙ্কারি অস্বীকার করলেন সাবেক চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
ফারমার্সে ঋণ কেলেঙ্কারি অস্বীকার করলেন সাবেক চেয়ারম্যান

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ফারর্মাস ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে যে অভিযোগ এসেছে তা সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক, অনুমাননির্ভর বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যেসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলোও অস্বীকার করেন তিনি।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেন সাবেক এ চেয়ারম্যান।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, তিনটি পত্রিকা ফারর্মাস ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে কতিপয় ঘৃণিত, অসত্য তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জাতির সামনে প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে ফারর্মাস ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নাকি ঋণ বিতরণের আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছি। এতোবড় অসত্য কথার সম্মুখীন আমার ৭৭ বছরে কখনও হয়নি।

তিনি বলেন, আমি শিল্প ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ছিলাম, কৃষি ব্যাংকের শিল্পঋণ সংস্থার সভাপতি ছিলাম, জেদ্দায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ছিলাম। আমার কার্যক্রম সম্পর্কে এভাবে কোনো উদাহরণ, কোনো অপবাদ কেউ কোনোদিন উপস্থাপন করতে পরেনি।
এ সময় তিনি নিজের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংসদে তুলে ধরে বলেন, আমার ব্যাংকের হিসেবের পুরো অংশ নিয়ে এসেছি। এখানে কেউ প্রমাণ করতে পারবেন কোনো ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে আমার এখানে অর্থ ঢুকেছে। তারা রিপোর্টে বলেছেন আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ১৭ জুলাই ১৩ কোটি টাকা গ্রাহকের হিসাব থেকে আমার হিসেবে এসেছে।  

তিনি বলেন, আমার ব্যাংক হিসেবে এখানে আছে ১৭ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭ বা ১০ দিনে আমার হিসেবে এ ধরনের কোনো অর্থ পরিবিষ্ট হয়নি। তাই আমি মনে করি এ ধরনের অপবাদ সমাজের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতিকূল। এবং প্রতিকূল বর্জন করার জন্য দূরে সরিয়ে সুসংহত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্পিকারের প্রতীবিক্ষণ চাইবো।

চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় অনুমোদনহীন ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে যা প্রচার করা হয়েছে এই অভিযোগও অস্বীকার করছি। কেননা আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পর্যবেক্ষক তারাও এটা অবলোকন করেছেন। এভাবে অনুমানভিত্তিক প্রচার আর্থিকখাতের শৃঙ্খলা রাখা ও প্রশোমন করার প্রতিকূল।

ফারর্মাস ব্যাংকে যে পরিমাণ ঋণ অনুমোদন হয়েছে তারচেয়ে বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগও আনা হয়েছে; এ অভিযোগও অস্বীকার করে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, টাকা দেওয়া ও সঞ্চালন করার এখতিয়ার ব্যাংক কর্মকতাদের, ম্যানেজার এবং অন্যদের। অনুমোদনের বাইরের কোনো ঋণ দিয়ে থাকলে সেটা তাদের দায়িত্ব। তবে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে আমার জানামতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

ব্যাংকটিতে সবক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি বলে যে অভিযোগ এসছে সে সম্পর্কে সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, ফারর্মাস ব্যাংকের সব ক্ষেত্রে যথাযোগ্য কর্মকর্তা নিয়েছি, তাই হয়েছে। শুধু তাই নয় বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ফারর্মাস ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরীদের নিয়োগ দিয়েছি। এটা ইচ্ছা করেই করেছি। এতে কেউ যদি মনে করেন ব্যাংকের স্বার্থ লঙ্ঘিত করেছে, তারা সত্য ও সৎ কথা বলেননি।  

কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিল পাস

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।