এছাড়া বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলায় শিগগিরই পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শাখা অফিসের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের এক বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোমিনুর রশিদ আমিন, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লাসহ কমিশনের আট সদস্য যোগ দেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে পাহাড়ের ভূমি বিরোধ বিষয়ক অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা, করণীয়,কমিশনের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত প্রায় ২২ হাজার আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে। বর্তমানে আবেদনগুলোর শ্রেণি বিভাজন করা হচ্ছে। বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলায় শিগগিরই কমিশনের শাখা অফিস স্থাপন করা হবে। এছাড়া কমিশনের প্রয়োজনীয় জনবল এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে সুপারিশ দেয়া হয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে কমিশনও দ্রুত কাজ করতে পারবে।
মার্চ মাসে কমিশনের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেন, আগে কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন করা দরকার। বিধিমালা না হলে কমিশন এগিয়ে যেতে পারবে না।
কমিশনের সদস্য চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায় জানান, যেহেতু কমিশনের জনবল সংকট প্রকট। তাই আগে এ সংকট দূর করতে হবে। কমিশনের লজিস্টিক সার্পোট দেয়া জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এসআই