মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে বাসটি জব্দ করা হলেও ডাকাত সদস্যদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত শাহজাহান টাঙ্গাইল সদর জেলার চরগানা গ্রামের মৃত বিশা মিয়ার ছেলে। এছাড়া আহত হেলপার টাঙ্গাইল সদরের বিশ্বাস মৃকা গ্রামের মৃত মীর সানোয়ার হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়া ও সুপারভাইজার শহিদুল খান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার পাছতা গ্রামের মৃত ইবাদাত খানের ছেলে।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ধলেশ্বরী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলো। এসময় আবদুল্লাহপুর ও বাইপাইল থেকে ১৩জন ডাকাত সদস্য যাত্রীবেশে বাসে উঠে। বাসটি চন্দ্রা ছেড়ে মির্জাপুর এলাকা এসে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে ডাকাত সদস্যরা। কিন্তু ডাকাতদের বাসের চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানায় চালক। এসময় চালক ও হেলপারকে বাসের পেছনের সিটে বেধে রাখে ও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে বাসটি নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বলিবদ্র এলাকায় নিয়ে আসে ডাকাত সদস্যরা। পরে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটপাট করে পালিয়ে যায় তারা।
খবর পেয়ে বাসটি বলিবদ্র বাজার থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এসময় বাসে পেছনের সিট থেকে চালক শাহজাহান মিয়ার, সুপারভাইজার শহিদুল ও হেলপার বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহজাহান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং সুপারভাইজারকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ডাকাত সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আশুলিয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এসআই ফারুক হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
ওএইচ/