মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা ও তেজগাঁও থানায় দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা রয়েছে।
‘এ দু’টি মামলায় তার বিরুদ্ধে পিডব্লিউ (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) রয়েছে। উনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এ দুই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ একটি ১৮ ফেব্রুয়ারি, অপরটি ৪ মার্চ। এসব মামলায় তার হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি আদালত ও জেল কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভরশীল। ’
কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার সামাজিক মর্যাদা আছে। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এসব বিবেচনা করেই তাকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। নতুন কারাগারে ফিমেল ওয়ার্ড নেই। অন্যদিকে কাশিমপুর ঢাকা থেকে অনেক দূরে। এসব দিক বিবেচনা করেই তাকে এ কারাগারে রাখা হয়েছে।
এ কারাগারেই জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়া সব সুবিধা পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতাদের ধরা হবে। এরই মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কেউ রেহাই পাবে না।
‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা অবিলম্বে গ্রেফতার হবে। এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করেই তাদের গ্রেফতার করেছে। ’
এদিকে দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাংলানিউজক জানান, তারা কারাগারে গিয়েছিলেন। জেল সুপার তাদের জানিয়েছেন খালেদাকে নতুন করে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। রায়ের কপি পেলেই হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ এসে নাজিমুদ্দিন সড়কের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায় বলে জানান আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮/আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা
কেজেড/এমএ