জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মো. আরিফ নামে একজন ভোক্তা কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার খন্দকার হক টাওয়ারে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ১.৫ লিটার পানির দাম রাখা হয় ২৫ টাকার স্থলে ৩০ টাকা। তিনি ভোক্তা আইনে অভিযোগ করলে তদন্তে মঙ্গলবার তার সত্যতা মেলে।
অন্যদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকার মো. রাশেদ নামে একজন ভোক্তা তার পরিবারসহ ওই এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। তিনি দেখেন সেখানে পানির দাম রাখা হচ্ছে ২৫ টাকার স্থালে ৩০ টাকা । তিনি ভোক্তা আইনে অভিযোগের কথা বললে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ তাকে অপমান করেন এবং বলেন পারলে অভিযোগ করতে।
রাশেদ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ওয়েব সাইটের নাগরিক কর্ণার থেকে অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করে ঘটনার সত্যতা মিললে অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয় সেই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অভিযোগকারী হিসেবে রাশেদ পান দুই হাজার ৫শ টাকা।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রমকে স্বাগত জানান ও সরকারকে ধন্যবাদ দেন।
অধিদফতরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা মো. আছাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভোক্তা হিসেবে কোনো পণ্য কিনে কেউ প্রতারিত হলে আমাদের কাছে বিনামূল্যে অভিযোগ করতে পারেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হলে অভিযোগকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৭৬(৪) ধারা অনুসারে জরিমানার ২৫ শতাংশ পেয়ে থাকেন।
তিনি সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ায় আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জিপি