সাধারণত বছরের এই বিশেষ দিনটিকেই অনেকে বেছে রাখেন মনের যত বাসনা ও অব্যক্ত কথা প্রকাশ করার জন্য। তাই বসন্তের মৃদু-মন্দ হাওয়ায় না বলা কথাগুলো আজ তাদের মধ্যে ডালপালা মেলছে।
ভালোবাসার উৎসবে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা রাজশাহী। উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মোবাইলফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ ভালোবাসার কথা পরিস্ফুটিত হচ্ছে। কেক, চকোলেট, পারফিউম, কার্ড, প্রিয় পোশাক অথবা বই উপহার দিচ্ছেন প্রিয়জনকে। তাই সকাল থেকে মহনগরীর উপহার সামগ্রীর দোকানগুলোর বিকিকিনিও জমে উঠেছে।
রাজশাহীর পদ্মাপাড়, কেন্দ্রীয় উদ্যান, জিয়া পার্ক, টি-বাঁধ, ভদ্রার শহীদ মনসুর রহমান পার্ক, পদ্মা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনোদন প্রেমীরা। কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ প্রিয়তম, কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন এসব স্থানে। বেলা যত গড়াচ্ছে ভিড় ততই বাড়ছে।
মহানগরীর বড়কুঠি পদ্মাপাড়ের ফুচকা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, সকাল থেকেই তার বেচাকেনা জমে উঠেছে। তবে বিকেলে আরও বেশি মানুষ পদ্মাপাড়ে বেড়াতে আসবেন। তখন তার ব্যবসা পুরোদমে জমে উঠবে। পয়লা ফাল্গুনে সাড়ে তিন হাজার টাকার ফুচকা বিক্রি করেছেন তিনি। ভালোবাসা দিবসে তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পদ্মাপাড়ের এই ফুচকা ব্যবসায়ী।
মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকার ফুল ব্যবসায়ী রাজেশ রায় বলেন, লাল গোলাপের চাহিদাই বেশি। তবে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি ফ্লাওয়ার রিং বেশি বিক্রি হচ্ছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরাই তাদের প্রধান ক্রেতা।
তবে তরুণ-তরণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষও আসছেন ফুল কিনতে। সব ফুলের দাম আগের মতই আছে। শুধু গোলাপের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আনন্দের মুহূর্তে কেউ আর দাম নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন বলে জানান রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারে থাকা এই ফুল ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএস/আরআর