মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- শহরের কামাননগরের হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদি হাসান ফয়সল (১৫), যুবায়ের হোসেন (১৮), রনি (১৮), শাহিনুর (২৪), ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮) ও কামালনগরের অমি (১৪)।
সদর থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) মহিদুল হক বাংলানিউজকে জানান, সাকিব হোসেন হত্যার ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হামলার শিকার অমিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, সাকিব হোসেন, রাশেদ ও অমি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনস স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বকচরায় মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে যেয়ে কামালনগর কলোনির আব্দুল কাদের ও একই এলাকার শান্তর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সেখানেই নিষ্পত্তির পর মাহফিল শুনে বাড়ি ফেরার পথে বকচরা বাইপাস সড়কে পৌঁছানো মাত্রই কাদের ও শান্তসহ তাদের কয়েকজন সঙ্গী সাকিব, রাশেদ ও অমির ওপর হামলা করে।
এসময় গাছের ডাল দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। সাকিব ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে। আহত হয় রাশেদ। দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় অমি। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় সাকিব ও রাশেদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাফিজুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। রাশেদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহত সাকিব হোসেন জেলার কলারোয়া উপজেলার সরসকাঠি পুলিশ ফাঁড়ির কনেস্টবল নজরুল ইসলামের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ