সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা ভেবে আরএমপির চার থানাকে ভেঙে ১২টি করা হচ্ছে। আরএমপির চার থানার বর্তমান আয়তন ২০৩ বর্গ কিলোমিটার।
প্রাথমিক অবস্থায় ভাড়া ভবনে নতুন থানাগুলোর কার্যক্রম চালানো হবে। পরে নিজস্ব ভবনের ব্যবস্থা হবে। থানার সংখ্যা বাড়ার কারণে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছানো যাবে। এছাড়া অপরাধ দমন করাও সহজ হবে। বর্তমান জনবল দিয়েই এসব থানার কার্যক্রম চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দুই বছর ধরে নতুন থানা গঠনের কাজ চলছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে আরএমপিকে চারটি ডিভিশনে ভাগ করা হবে।
ডিভিশনগুলো হলো- ডিসি (বোয়ালিয়া), ডিসি (কাশিয়াডাঙ্গা), ডিসি (মতিহার), ডিসি (শাহ মখদুম)। আর বোয়ালিয়া জোনের মধ্যে থাকবে রাজপাড়া, চন্দ্রিমা ও বোয়ালিয়া থানা। কাশিয়াডাঙ্গা ডিভিশনে থাকবে কাশিয়াডাঙ্গা, কর্ণহার ও দামকুড়া থানা। মতিহার জোনের মধ্যে থাকবে মতিহার, কাটাখালী ও বেলপুকুর থানা। ডিসি শাহ মখদুমের অধীন থাকবে শাহ মখদুম, বিমানবন্দর ও পবা থানা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, বর্তমান থানার চেয়ে এতো বেশি সংখ্যক থানা একসঙ্গে বাড়ানো পুলিশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আশা করছি আমাদের জনবল দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আমীর জাফর, আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শিরিন আক্তার জাহান, নগর বিশেষ শাখার এসএসপি আবু আহাম্মদ-আল-মামুন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলমসহ বিভিন্ন জোনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
**আরএমপির আট থানার দরজা খুলছে এ বছরই
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএস/আরআর