বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে মোবাইল ট্যাগিং এর মাধ্যামে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মাধপুর বটতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ১টি পেন ড্রাইভ, ১৮টি সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
আটকরা হলেন-পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরখোকড়া গ্রামের মুকুল প্রামাণিকের ছেলে শিমুল হোসেন (২৫) ও দাপুনিয়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম হৃদয় (২৩)
শিমুল পাবনা এ্যাডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ছাত্র ও হৃদয় ইতিহাস বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের তথ্য প্রযুক্তি সেল আইটি সেকশনের দেওয়া তথ্যমতে আটক দুই শিক্ষার্থীর সামাজিক গণমাধ্যম (ফেসবুক আইডি) ও তাদের মোবাইল নম্বর ট্যাগিং করে তথ্য জানা যায়, তারা সরাসরি নিজেদের পোস্টে ও গ্রুপে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে আসছিলো। তারা নিজেদের আইডি ও গ্রুপে লিখতো, প্রশ্ন লাগবে কি? ১০০% কমন!
নিজেদের ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর দিতো। প্রশ্ন কমন পেলে টাকা পরিশোধ করতে হবে। ২০০ টাকা অগ্রিম ও প্রশ্ন কমন পাওয়ার পর ৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে টাকা বিকাশে নিশ্চিত হবার পর ইনবক্সে প্রশ্ন সরবরাহ করে আসছিল। অতঃপর পুলিশ আইডি দুটো ট্যাগিং করে বিভিন্নজনের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত ও পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের মাধপুর বটতলা এলাকা থেকে প্রশ্ন কেনার অজুহাতে ছদ্মবেশে পুলিশ তাদের আটক করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নপত্র বিক্রি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল এরা। তথ্য প্রযুক্তি আইন ও প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিক্রি করার অপরাধে মামলা নথিভুক্ত করে আটকদের বিকেলে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ