বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সোহাগদল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্দিকের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪২) ও তার ছেলে তাজিমকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে মিলন গত শনিবার বিকেল তিনটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু সে আর বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। এ ব্যাপারে গত সোমবার মিলনের বাবা নেছারাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
বুধবার সকালে লোকজন সোহাগদল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির আশপাশে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে রেহেনা বেগমকে আটক করে। পরে বরিশালের আলেকান্দা এলাকা থেকে তাজিমকে মিলনের মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।
নেছারাবাদ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী শাহ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, একটি মোটরসাইকেল কেনা-বেচা নিয়ে তাজিমের বাড়িতে যায় মিলন। সেখানে মিলনের সঙ্গে তাজিমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাজিম হাতুড়ি দিয়ে মিলনের মাথায় আঘাত করলে তাৎক্ষাণিক সে মারা যায়।
ঘটনার পরেই তাজিম মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাজিমের মা রেহেনা আরও দুইজনের সহযোগিতায় মিলনের মরদেহ বস্তাবন্দি করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ