তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে দেশব্যাপী সমবায়ীদের উপযোগী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। এ লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সমবায় বিভাগের নিবন্ধক ও মহাপরিচালকেও কঠোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমবায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
সমবায় ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, জানিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, সমবায় ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্ভব নয়। কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য সমবায়ের জন্ম হয়েছিল।
ক্ষুদ্র ঋণের আবদ্ধতা থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনতে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ চালু করা হয়েছে। যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিজেদের সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং সমাজ উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে পারে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরুহা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সমবায় বিভাগের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আব্দুল মজিদ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, বিভাগীয় সমবায় যুগ্ম নিবন্ধক খোরশেদ আলম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান।
মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার সফল সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পরে মন্ত্রী নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সম্মেলনে যোগ দেন।
রাতে মন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সুধী সমাজের সঙ্গে একই স্থানে ময়মসিংহের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করবেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী ময়মনসিংহ এসে পৌঁছলে বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমএএএম/আরবি/