সফররত ইইউ’র সংসদীয় প্রতিনিধি দলের নেতা জিন ল্যামবার্ট বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে জোটের দূতাবাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসিয়ে টিয়েরিঙ্ক এবং প্রতিনিধি দলের সদস্য ওয়াল্টার মাসুর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন-খালেদা বিষয়ে ইইউকে অবস্থান জানালো ইসি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বন্দিদশা প্রসঙ্গে জিন ল্যামবার্ট বলেন, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা আমাদের এখতিয়ারের মধ্য পড়ে না। খালেদা জিয়ার পার্টি একটি চ্যালেঞ্জের মুখে। আমরা বিষয়টি ইসিতে আলোচনা করেছি। তারা বিষয়টি কেমন করে সামলান সে বিষয়ে কথা হয়েছে, যেন সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইইউ সংসদীয় দলের এ নেতা বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু সংকট। বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিয়ে প্রশংসার কাজ করেছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা একটি জটিল বিষয়। এরমধ্যে বর্ষা আসন্ন, এই প্রেক্ষাপটে এখানে দ্বিতীয় বড় সংকট তৈরি হোক, তা কাম্য নয়।
রাখাইনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিয়ানমারের দিক থেকে এখনও মানবাধিকার কর্মীদের অবাধ চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে আশ্রয়ে রাখা সম্ভব নয়। মানবপাচার এবং চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে হতে পারে। ইইউকেও এজন্য করণীয় নিয়ে ভাবতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বাড়তি বোঝা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বোঝা কমাতে বিশ্বের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় সংসদের মানবাধিকার বিষয়ক ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এসময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সে বিষয়টি তুলে ধরে দলটির ল্যামবার্ট বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে নাগরিকত্ব পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গারা যেন নিজ আবাসভূমিতে নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে ফিরতে পারেন, তার নিশ্চয়তা বিধান মিয়ানমার সরকারকেই করতে হবে।
ইইউ প্রতিনিধি দলের এ প্রধান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
কেজেড/এইচএ/