একটি মামলায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর মামলায় ১০ বছর মিলিয়ে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
আনিসুল হক জানান, ক্যান্টনমেন্ট থাকায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। আপিলের রায়ে আসামি তারেক রহমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগর দায়রা কোর্টে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা হয়েছে। আদালত তারেক রহমানকে জরিমানার টাকা অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে আনুপাতিক হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম চলছে।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল সৃজনের মঞ্জুরি দিয়েছে এবং উক্ত ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃজন করা হয়েছে। নবসৃজিত এ পদগুলোতে আমরা শিগগরিই নিয়োগ দিচ্ছি যাতে করে মামলাগুলো আরো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএম/জেডএস