সংসদে একথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
হানিফ বলেন, দেশের জনগণ আর বিএনপি-জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করার সুযোগ দেবে না। বিএনপি যদি দেশের জনগণের আস্থা পেতে চায় তবে দলটির নেতাদের উচিত দুর্নীতিবাজদের ঝেড়ে ফেলে দিয়ে পরিচ্ছন্ন নেতাদের সামনে নিয়ে আসা।
‘বিএনপি-জামায়াত জোট দেশের উন্নয়ন চায় না, সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধা দিতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার কারণেই তাদের দোসর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা চেয়েছিল জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করে একটি অগণতান্ত্রিক শক্তিকে আনতে। কিন্তু সেখানেও বিএনপি-জামায়াত জোট ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মামলা কেন্দ্র করে তারা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে সন্ত্রাসের পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বয়সের কারণে খালেদা জিয়ার কম দণ্ড হয়েছে। না হলে তিনি যে অপরাধ করেছেন তার জন্য সর্বোচ্চ দণ্ড হওয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, শুধু খালেদা জিয়াই নয়, তার পুত্র ও স্বামীও দুর্নীতিবাজ। পরিবার বাংলাদেশের জন্য একটি অশুভ শক্তি। এদের দিয়ে দেশ ও জনগণের কোন কল্যাণ হয়নি।
বিএম মোজাম্মেলক হক বলেন, বিএনপি তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিধানটি ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের আর সেই সরকার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই। তাই আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
নির্বাচনের আগেই রংপুরে গ্যাস যাবে
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএম/এএ