পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৭) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় তিনজনের নামে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, জীবননগর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আরিফের সঙ্গে বছর খানেক আগে পাশের নতুন তেতুলিয়া গ্রামের ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরীক্ষার্থী জানায়, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আরিফ মোবাইলে ফোন করে দেখা করতে বলে। পরে দেখা করতে গেলে দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি পর তাকে উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে আরিফ। পরে আরিফের দুই বন্ধু জুয়েল ও সিরাজুল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাকে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে আরিফ। ধর্ষণের পর ওই পরীক্ষার্থী জ্ঞান হারালে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরীক্ষার্থীর বাবা জানায়, ধর্ষণের দুই দিন পর মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আরিফ স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেওয়ার কথা বলে আবারো আমার মেয়েকে দেখা করতে বলে। তার কথা মতো আমার মেয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের একটি ব্রিজের কাছে অবস্থান নেয়। এ সময় আরিফ সেখানে আসলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। পরে গ্রামবাসী আরিফকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ আরিফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী বাদী হয়ে ধর্ষক আরিফ, জুয়েল ও সিরাজুল ইসলামের নামে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অন্য দুই ধর্ষককেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে এ মামলায় ধর্ষক আরিফকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য দুই ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
আরআইএস/