বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আটক দু’জন হলেন- উপজেলার গাগরন্দ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে জামিল উদ্দিন (২৩) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল গাফফার (১৯)।
আটকৃতদের বিরুদ্ধে এসিড অপরাধ দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান লিটনকেও (২৫) আসামি করা হয়েছে। আক্তারুজ্জামান উপজেলার জুরানপুর গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে।
মামলায় আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রী দিলারা আক্তারকে (১৭) এসিড নিক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। দিলারা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে। তিনি চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে দিলারার বিয়ে হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। কিন্তু বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় দিলারা তার স্বামীকে তালাক দেয়। এর শোধ নিতে বুধবার রাতে আক্তারুজ্জামান ও তার দু’বন্ধু দিলারার ঘরের জানালার পাশে যায়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি বুঝতে পারলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
পরে দিলারার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা সেখানে একটি প্লাস্টিকের বোতল খুঁজে পান। সে বোতলে এসিড ছিল এবং তা দিলারাকে নিক্ষেপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে। ওই বোতলটি পাওয়ার পর স্থানীয়রা দু’কিলোমিটার দূরের তাঁতিহাটি গ্রামে ফোন দেন। ওই তিনজন সে গ্রামের ভেতর দিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা তাদের পথ আঁটকানো হয়। এ সময় দু’জনকে আটক করা হলেও পালিয়ে যান আক্তারুজ্জামান। পরে দু’জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। দিলারার বাবা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওসি জানান, আটক রেজাউল ইসলাম বলেন, দুই তরুণ এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দাবি করেছেন, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আক্তারুজ্জামান তাদের নিয়ে সাবেক স্ত্রীকে ফুল দিতে গিয়েছিলেন।
ওসি বলেন, জব্দ হওয়া এসিড শক্তিশালী নয়। এ ধরনের এসিড সাধারণত ব্যাটারিতে থাকে। পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। দু’জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসএস/এএটি