বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাপাড়ার পাড়াডগাইর এলাকার আল-আমীন রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ওইদিন সকালে স্ত্রী হামিদা আক্তারের মোবাইলে একটি মিসকল আসে। ওই নম্বরে আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন রনি ফিরতি ফোন করে একটি পুরুষের কণ্ঠ শুনতে পায়। পুরুষ লোকটি তার পরিচয় না দেওয়ায় রনি স্ত্রীকে পরকীয়ার সন্দেহ করেন।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রনি রান্নাঘর থেকে কেরোসিন এনে স্ত্রী গায়ে ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে ভিকটিমের পরিধেয় সালোয়ার-কামিজে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনার ৭ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই শামসুল হক বাদি হয়ে ওই বছরেরই ২৬ জানুয়ারি ডেমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মীর আতাহার আলী আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন রনিকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৩১ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রায় ঘোষণার আগে বিচারক চার্জশিটের ১৬ জন সাক্ষির মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি এএফএম রেজাউল করিম ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮/আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা
এমআই/ওএইচ/