বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিএ) ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের (বিএমটিপি) উদ্যোগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিএমটিএ’র আহ্বায়ক ও বিএমটিপি’র সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠন দু’টির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান, সদস্য সচিব আবদুর রহমান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, শফিকুর রহমান, সাইদুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর ও ৬৪ জেলার নেতারা।
তিন দফা দাবিগুলো হলো- সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দশম গ্রেড প্রদান ও বাস্তবায়ান, ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়ন, স্থগিত হওয়া নিয়োগ দ্রুত চালুকরণ ও নতুন পদ সৃষ্টি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ’ থেকে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি লাভ করে ৩০ থেকে ৩৫ বছর চাকরি করলেও কোনো পদোন্নতি হয় না। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে টেকনোলজিস্টদের চাকরি দশম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ১৯৯৪ সালে ও ডিপ্লোমা নার্সদের ২০১২ সালে দশম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। তাহলে যোগ্যতা অনুসারে আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক।
সঠিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত হলো রোগ নির্ণয় উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রোগ নির্ণয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকে। এ রকম প্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্বে থাকার পরও গত ১০ বছর মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কোনো নিয়োগ নাই। সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর রোগ নির্ণয়ের জন্য উন্নতমানের সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে সেগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অযথা বিকল হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সরঞ্জাম। ফলে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয় সেবা থেকে। দুঃখজনক হলেও সত্যি বর্তমান সময়ে দেশের ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি পর্যায়ে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা চার হাজারের বেশি নয়। অন্যদিকে দেশে বেকার টেকনোলজিস্টের সংখ্যা ৪০ হাজারের অধিক। বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে। এটি আমাদের জন্য একটি জাতীয় হুমকি।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার মাধ্যমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এমএএম/জিপি