বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত শিরিন নাঈমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশ্বরোড এর পাশ দিয়ে নতুন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী সেতুর উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের কথা নাকচ করে দেন তিনি।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি কুমিল্লা/লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম ভায়া কুমিল্লা/লাকসাম দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সমীক্ষা প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৮ মার্চে অনুমোদিত হয়েছে। একই বছরের ২১ জুন পরামর্শক নিয়োগের জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) আহ্বান করা হয়। দাখিলকৃত ইওআই প্রস্তাব মূল্যায়ন শেষে ৬টি প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এরপর ২৭ নভেম্বর রিকোয়েস্ট ফর প্রোপজাল (আরএফপি) ইস্যু করা হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি আরএফপি মূল্যায়নাধীন রয়েছে।
মুজিবুল হক বলেন, প্রকল্পটির আওতায় নির্মিতব্য রেলপথ ঢাকা থেকে দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে কুমিল্লা প্রবেশ করবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২১ কিমি থেকে ৯০ কিমি হ্রাস পাবে। অর্থাৎ এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২৩১ কিমি। দ্রুতগতির রেলপথটি নির্মিত হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ভ্রমণ সময় অনেকটাই হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ