ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে রাজিয়ার ময়না-তদন্তের পর বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজিয়ার মৃত্যু রহস্যজনক। ’
তিনি জানান, ময়না-তদন্তের অংশ হিসেবে রাজিয়ার গলা থেকে টিসু ও ভিসেরা (যকৃৎ, কিডনি, পাকস্থলী ও পাকস্থলীতে থাকা খাবারের নমুনা) সংগ্রহ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে খিলগাঁওয়ের পূর্ব গোড়ানে নিজেদের বাড়ি থেকে রাজিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে রাজিয়ার স্বামী আবির পাটোয়ারী ও তার এক বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়না-তদন্তের পর ঢামেক মর্গ থেকে রাজিয়ার মরদেহ গ্রহণ করেন তার চাচা জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ১১ মাস আগে রাজিয়ার সঙ্গে আবিরের বিয়ে হয়। চলতি মাসে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিতা হওয়ার কথা ছিল। আগে কখনও তার স্বামীর বাড়ি নির্যাতনের কথা শোনা না গেলেও রাজিয়া আত্মহত্যা করতে পারেন না বলে মনে করেন জাহাঙ্গীর।
রাজিয়ার মরদেহ গোড়ানের দক্ষিণ বনশ্রীতে তার বাবা ইকবাল হোসেনের বাসায় নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
খিলগাঁও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাজিয়ার মৃত্যু ঘটনায় ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় আটক আবির ও তার বন্ধু অভিজিতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/