এ ঘটনার পর আহত ছাত্রকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রাসেল খান (১২) উজিরপুরের শোলক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফজাল খানের ছেলে এবং উপজেলার শোলক ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আহতের বাবা আফজাল খান বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক মাওলানা মো. ইদ্রিস মোল্লা দুপুর ১২টার দিকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাসে যান পাঠদানের জন্য। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে পড়া জিজ্ঞাসা শুরু করেন। বাপ্পি নামে এক ছাত্রের কাছে পড়া জিজ্ঞাসা করলে সে তা বলতে পারেনি। এসময় বাপ্পির পাশে থাকা তার ছেলে রাসেল স্ব-ইচ্ছায় অগ্রিম পড়া বলতে চাইলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন ওই শিক্ষক। পরে তিনি রাসেলের মাথা ধরে পাশের দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে মারধর করেন। এতে রাসেল আহত হলে তাকে আশোকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে বরিশালের রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, পড়া বলতে চাওয়ার পরপরই শিক্ষক তাকে প্রথমে চর-থাপ্পর ও পরে মাথা ধরে দেয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে জখম করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হারুন অর রশিদ প্রতক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, রাসেল অগ্রিম পড়া বলতে গিয়ে ভুল বলেছে বিধায় ইদ্রিস ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাণ্ড ঘটান। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক রাসেলকে আশোকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে পাঠান।
এদিকে দেয়ালে মাথা ধরে ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন সরদার জানান, তিনি ঘটনার সময় ব্যাংকে ছিলেন। মাথায় আঘাত করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। শিক্ষার্থীকে মারধর করে আহত করার বিষয় নিয়ে শনিবার ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, এর আগে ওই শিক্ষক আরও এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে। সে ঘটনা কয়েকদিন আগে স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হয়।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বাংলানিউজকে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
আরবি/