বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় সবুজের জিন্সের প্যান্টের পেছনের পকেটে থাকা মানিব্যাগে দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং ছবিযুক্ত সৌদি এন্টি পাস কার্ড (আইডি) পাওয়া যায়। স্বজনরা ওই আইডি দেখে সবুজের মরদেহ সনাক্ত করেন।
এর আগে, গত ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের চৌকা গ্রামের আদম বেপারী আলী নেওয়াজের কাছে থেকে পাওনা টাকা ফেরত নিতে গফরগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন সৌদি প্রবাসী সবুজ মিয়া।
এসময় আদম বেপারী আলীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে স্থানীয় তেতুলিয়া নামক স্থানে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে সেখানে আলী নেওয়াজের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সবুজকে কুপিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় পরের দিন সবুজের বাবা শহীদ মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি আদম বেপারী আলী নেওয়াজ, জিতু মেম্বার ও জহিরুল ইসলামকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এমএএএম/এসআরএস