জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে সাজা ঘোষণার পর তিনি সেখানেই আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত দেড়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও তার আশপাশ ঘুরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় দেখা যায়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা জানালেন কারাগারের চারদিকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়।
রাত দশটার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে যাওয়ার প্রায় সব পথ অনেকটাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় দেড়শ’ পুলিশ বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে।
কারাগারের আশেপাশে যাদের বসবাস তারাই শুধু যাতায়াত করতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর-চাঁনখারপুল হয়ে কারাগারের দিকে যাওয়ার সড়কটিতে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। দোয়েল চত্বরের তিন নেতার মাজারের সামনের সেই বড় সড়কটি কাঁটাতারের ব্যারিকেড ফেলে বন্ধ করে দেওয়া আছে ২১’শে বইমেলার জন্য। এছাড়া
চাঁনখারপুলেই দুই স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।
কারাগারে সামনের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হোসেনী দালান, কারাগারের পেছনে চকবাজার, ওয়াটার ওয়ার্কস রোড, রহমতগঞ্জসহ আশপাশের সব রাস্তায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক আছে।
নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত তেমন কাউকে তল্লাশি করা হচ্ছে না বলে জানালেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে তার সঙ্গে থাকছেন ফাতেমা বেগম (৩৫)। ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
কেজেড/এমএসএ/এমএইউ/