বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মল্লিক সুধাংশুর সঙ্গে তিনি অশালীন আচরণ করেন।
খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু জানান, তেরখাদা উপজেলার বিআরবি আজগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তিনি।
বিষয়টি সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উভয় শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ স্কুলে বৈঠকের কথা ছিল। ছাত্রপক্ষ সময়মতো হাজির হলেও ছাত্রীপক্ষের কেউ আসেননি। প্রধান শিক্ষককে এ ঘটনা জানালে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে দিন নির্ধারণের জন্য তাকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী মোবাইল ফোনে কল করে আমাকে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। ফোনালাপের এক পর্যায়ে তাকে স্যার না বলে ভাই বলায় আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
এ বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার সময় পাশের লোকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি। তিনি মনে করেছেন তার সঙ্গে আমি এমন ব্যবহার করেছি।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান বলেন, আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। বিষয়টি আমি দেখছি।
খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ করা ঠিক না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ সরকারি একজন কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা ও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফোনালাপে স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে তুচ্ছ করা মানহানিকর। এটা সাংবাদিক সমাজ কোনভাবেই মেনে নেবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ইউএনওর বিচার দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বাপ্পী খান তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমআরএম/আরআর