শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য তৈরি করা তালিকা হস্তান্তর এবং প্রত্যাবাসন পরবর্তী সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ইয়াবা চোরাচালান ও এর বিস্তার রোধে সীমান্তে যৌথ তৎপরতা ও অভিযান বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসময় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আর মিয়ানমার প্রতিনিধি দলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াও সোয়ে নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, পৌনে ৩টার দিকে লে. জে. সোয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
গত আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হলে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখো রোহিঙ্গা, যা এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, সবমিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।
প্রথম দিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এই রোহিঙ্গাদের ‘অনুপ্রবেশকারী বাঙালি’ বলে আখ্যা দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে জনগোষ্ঠীটির লোকদের ফিরিয়ে নিতে সমঝোতায় পৌঁছায়। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকার অভিযোগ, রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় এ প্রক্রিয়া এখনই শুরু হচ্ছে না।
এই নিয়ে আলোচনা চলতে থাকার মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮/আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা
এসই/ওএইচ/এইচএ/