বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী খাদিজা বেগম ঝুনু বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
নিখোঁজ ব্যবসায়ী স্ত্রী খাদিজা বেগম ঝুনু বাংলানিউজকে জানান, বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়িসহ তারা পাঁচজন থাকেন। ওইদিনে রাতে তার স্বামী আবদুল্লাহ ঘর থেকে বের হন। বাড়ি দেখাশুনা ছাড়া তেমন কোনো কাজ না থাকায় রাত ৮টার পরে তিনি বাহিরে থাকেন না। তিনি সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় না আসায় তাকে ফোন দেওয়া শুরু করেন। রাত ১০টার দিকেও যখন ফোন দিয়ে পাওয়া যাচ্ছিলো না তখন স্বজনরা মিলে তার স্বামীর সন্ধানে নামেন। বিভিন্ন স্বজন ও পরিচিতিজনসহ বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ডায়েরি নম্বর-৫৫৫।
তিনি আরো জানান, ডায়েরি করার আগে কোতোয়ালি থানায় অবস্থান করার সময়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আজাদের মোবাইল থেকে তার ফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আজাদ বলেছিলো তার চোখ বেঁধে কারা যেন তুলে নিয়ে গেছেন। তাকে বাঁচাতে স্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কে বা কারা তাকে তুলে নিয়েছেন কিংবা কি ব্যবস্থা নিতে হবে তা বলার আগেই সংযোগটি বিছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে আজাদের ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। আজাদকে উদ্ধার করতে র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এ আর মুকুল বাংলানিউজকে জানান, আজাদ নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে থানার একটি ডায়েরি করেছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমএস