কবে নাগাদ এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাও বলতে পারছে না স্থানীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে সৈয়দপুর শহরের সোনাপুকুর এলাকার ইকু পেপার মিলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে মিলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় না থাকায় মিলটিতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। লো-ভোল্টেজের সমস্যায় আমাদের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। দ্রুত সঠিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পিডিবির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এই জনপদে রফতানিমুখী প্রেসার কুকার ও ননস্টিক কারখানা রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের তথা নোয়াহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, রফতানি মেলার অনেক অর্ডার পেয়েছি। সারাদেশে আমাদের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অথচ এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সংকট চরম বেকায়দায় ফেলেছে আমাদের। লো-ভোল্টেজের কারণে প্রায় সময়ই মিল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পিডিবিকে বারবার তাগাদা দিয়েও এর সুরাহা হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ চরম আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব পড়েছে উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরী, ইকু জুট ও পেপার মিল, রানু অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, পোদ্দার, সেলিম জুটমিল, আহমেদ প্লাইউড কারখানা, গ্লোরী সিরামিকসসহ বিভিন্ন মিল ও কল-কারখানায়। এসব কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
কারখানার মালিকরা বাংলানিউজকে জানান, এতে করে শ্রমঘণ্টা যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমনিভাবে ব্যাংক ঋণের বোঝাও বাড়ছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও সরবরাহ কেন্দ্রে ধরনা দিচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলানিউজকে বলেন, এটি সিস্টেম ভোল্টেজ। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু নেই। সৈয়দপুর গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেরামত (ওভারহোলিং) কাজ চলছে। ফলে জাতীয় বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ভিত্তিতে তা সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বাংলানিউজকে বলেন, আমরাও পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকি, কিন্তু লো-ভোল্ডেজ নেই। আমাদের কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
টিএ