মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজধানীর বাসাবো ঝিলপাড়ের বাসিন্দা জাকির হোসেন এভাবেই ক্ষোভ আর আক্ষেপ প্রকাশ করছিলেন বাংলানিউজের কাছে। শুধু জাকির হোসেন নন, বাসাবোর বেশিরভাগ বাসিন্দাকেই এখন আতঙ্কে রেখেছে মশা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাসাবো এলাকা ঘুরে কথা হচ্ছিল বাসিন্দাদের সঙ্গে। তারা বলছিলেন, খিলগাঁও-বাসাবো খালের কারণেই আবাসিক এই এলাকাটিতে মশার উৎপাত। সরু খালের দুই পাড় সংস্কার করে বাঁধ দেওয়ার পরও পানিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। যেন পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের নালা। যে কারণে এই খাল থেকে দিনরাত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর এই আবর্জনার খাল থেকে পানি গড়াতে পারে না বলে প্রতিনিয়তই বংশ বিস্তার হচ্ছে মশার।
মধ্য বাসাবো বৌ বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন আলী বলেন, ‘সূর্যা ডোবার আগ থেইক্কাই মশা কামড় শুরু করে। সন্ধ্যা নামলেই আমাদের আর নিস্তার নাই। এখানকার মশা বড় বড়। কয়েলেও কোনো কাম হয় না। কয়েলে মশা পাগলা হইয়া আরও উড়াধুড়া কামড় দেওয়া শুরু করে। বাসাবো খালের কারণেই মশার উৎপাত। এখানে দেখার কেউ নাই ভাই। ’
এই এলাকার আরেক বাসিন্দা ওবায়দুল হক বলেন, ‘বাসাবোতে প্রচুর মশা। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনায় পানি জমে থাকে বিধায় দিনে দিনে যেন বংশ বিস্তার হয়ে আরও বাড়ছে মশা। কয়েক মাস হলো এই এলাকায় মশা মারার বিষও ছিটাতে দেখিনি। ’
হোসেন আলী-ওবায়দুলের মতো আরও কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, মশা নিধনে এখানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মশা নিধনে ওষুধতো ছিটাতে দেখা যায়ই না। খাল পরিষ্কারেও কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নাই। এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাও ভালো নয়। যে কারণে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনায় পানি জমে বংশ বিস্তার করছে মশা।
তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর (ওয়ার্ড-০৬) সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি বলেন, ‘আল্লাহর ৩০টা দিনই মশার ওষুধ দিই। প্রত্যেক দিনই মশার ওষুধ দিই। ’
তারপরও স্থানীয় বাসিন্দারা মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফোন কেটে দেন ভাট্টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/