শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ)-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ও শাপলা নীড় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে মোট ১৪ জন শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এর আগের বছরও এই সংখ্যা ছিলো ১৪।
পরিসংখ্যান অনুসারে শিশু হত্যা কমেছে। ২০১৭ সালে সারাদেশে ৫ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিলো ৮। তবে ২০১৬ সালের চেয়ে ২০১৭ সালে ধর্ষণ বেড়েছে। পাশাপাশি থেমে নেই আত্মহত্যাও।
শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারকে ৬ দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশগুলো হচ্ছে- ১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। গৃহকর্মী শিশুকে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা নিশ্চিত করা।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে গৃহকর্মী শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করার পাশাপাশি মনিটরিং সেল গঠন করে নিয়মিত মনিটরিং করা।
গৃহকর্মী শিশুদের ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয়ী হতে উৎসাহিত করা। এজন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে এই শিশুরা সহজে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে ও ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়া সঠিক বয়স জানার জন্য সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে গৃহকর্মী শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের তালিকায় গৃহকর্মে নিযুক্ত শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা (ঝুমা), শাপলা নীড়ের সভাপতি আতিকা রোম প্রমুখ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেবিকা দেবনাথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমএফআই/আরআর