শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নেওয়াশী গ্রামের নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বছির উদ্দিনকে। এর আগে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা বছির উদ্দিনের মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে জানাজায় অংশ নেয়। এ সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাকরা বেগম (৪৫) দেনমোহর পরিশোধের দাবি করে মরদেহ দাফনে বাধা দেন।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী শাকরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার কোনো সন্তান নেই, আমার ভবিষ্যৎ কি হবে। আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে আছে। এখন আমার স্বামী নেই। কে আমাকে দেখাশুনা করবে। আমার কোনো ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত মরদেহ দাফন করবেন না।
এ ঘটনায় বছির উদ্দিনের দুই স্ত্রীর স্বজনদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে এলাকাবাসী জানাজা শেষে মরদেহ দাফন না করেই চলে যান।
এরপর স্থানীয়রা দিনভর দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে বিষয়টি ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও নিহতের দুই স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির সুরাহা করে।
ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহুবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী শাকরাকে ৬০ হাজার টাকা ও স্বামীর সম্পত্তির দুই আনা দেওয়ার প্রতিশ্রতিতে অবশেষে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই বছির উদ্দিনের মরদেহ দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এফইএস/আরআর