শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলি করার পর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মারা যান। এরপর সন্ধ্যায় বাদশার মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শিউলী আক্তার।
শিউলী আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। একসময় তারা টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় থাকতেন। ওখানে থাকার সময় মাদক রাখার কারণে বাদশা জেল খাটেন। কয়েকদিন ধরে তারা স্বামী-স্ত্রী বাড্ডার মেরুল আনন্দ নগরে একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শিউলী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ও বাদশা মৌচাকে একটি কাপড়ে দোকানে চাকরি করতেন।
তিনি জানান, সকালে বাদশাকে বাসায় রেখে তিনি অফিসে যান। পরে বাদশার মা আমেনা বেগম তাকে জানান, চার যুবক বাদশাকে ডেকে নিয়ে মেরুল মাছ বাজারের সামনে গুলি করে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মারা যান।
শিউলী আরো জানান, বাদশা অনেক আগে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। বাড্ডা এলাকার নরুল ইসলাম নামে বাদশার এক বন্ধু তাকে মাদক ব্যবসার জন্য আবারো চাপ দিতে থাকে। ব্যবসা করতে রাজি না হওয়া নরুল ইসলামসহ তার লোকজন বাদশাকে গুলি করে হত্যা করে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, বাদশা পুলিশ সোর্স হিসেবে কাজ করতেন কি না বিষয়টি জানা নেই। এ ঘটনার সময় অস্ত্রসহ নরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
**বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এজেডএস/এনটি