ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: ইতালির রোম এবং ভ্যাটিকান সিটিতে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে তাকে বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
 
বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগসহ সরকার দলীয় জোটের রাজনৈতিক নেতারা এবং বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


 
গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে রোম থেকে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান শিকদারসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
 
রোম থেকে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে পৌঁছে সেখানে যাত্রাবিরতি করেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও যাত্রাবিরতি বাড়ানো হয়।
 
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট ফাউসন হোউংবোর আমন্ত্রণে রোমে সংস্থাটির ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলে যোগ দিতে এবং পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে ভ্যাটিকান সিটি সফরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও তার সঙ্গীরা।
 
সেদিন সন্ধ্যায় রোমে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। চার দিনের সফরকালে শেখ হাসিনা রোমের হোটেল পার্ক দ্য প্রিনসিপি গ্র্যান্ডে অবস্থান করেন।
 
১২ ফেব্রুয়ারি তিনি যান ভ্যাটিকান সিটিতে। সেখানে পোপের কার্যালয়ে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ও ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠকে মিলিত হন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্দিনাল পিয়েত্রো পারোলিন। দু’টি বৈঠকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি গুরুত্ব পায়।
 
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভ্যাটিকান সিটির ভূমিকা চান। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও এ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেন পোপ ফ্রান্সিস।
 
পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি রোমে স্থানীয় সময় সকালে ইফাদের ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলের উদ্বোধনী সেশনে অংশ নিয়ে মূল বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
বক্তৃতায় তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে উন্নয়ন অংশীদারদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন অংশীদারদের আরও উদার হওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
 
‘ভঙ্গুরতা কাটিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা: টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিল। উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট ফাউসন হোউংবো। ভিডিও বার্তায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেস।
 
এদিন বিকেলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের মধ্যে ৯২.৪ ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির আওতায় দেশের উত্তর-পূর্বের ৬ জেলার গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়ন করা হবে।
 
রাতে রোমে ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।