শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে আফসানাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আফসানা সকালে ঘুম থেকে উঠেই মা-বাবার কাছে বায়না ধরেছিল শিশুপার্কে নিয়ে যেতে।
ঢামেক হাসপাতাল মর্গে মরদেহ হয়ে শুয়ে আছে আফসানা। তার পাশেই বসে আছেন মা মনোয়ারা।
এসময় বিলাপ করতে করতে তিনি বলছিলেন, মেয়ের বায়নায় পার্কে গাড়ি ও ট্রেনে চড়ার পর একটি ইলেক্ট্রিক চরকিতে মাথা বের করলে লোহার খুঁটিতে জখম পায় আফসানা। এতে তার মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসক আফসানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনোয়ারা বলেন, শ্যামপুরে জনতা ব্যাংকে ২য় ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন তিনি। তার দুই সন্তান। নিহত আফসানা ও দেড় বছরের শিশু আজান। তারা স্বামী-স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী কতুবখালি শাহী মসজিদ রোড এলাকায় থাকেন। মেয়ের বায়নায় বিকেলে তারা সবাই শ্যামপুরের ইকোপার্কে যান।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, ইকোপার্কের কোনো গাফলতি আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এজেডএস/টিএ