বক্তব্যে সেই আক্ষেপ রেখেই বললেন, এখানে প্রতিযোগীদের মতো আমার মেয়েও হুজুরের কাছে কোরআন শরীফ শিখছে। ভবিষ্যতে এ রকম আয়োজনে তেলাওয়াত শুনবো।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ৩০০ ফিট সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাশরাফি বলেন, অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে গিয়ে অনেকে কোরআন প্রতিযোগিতায় যখন পুরস্কার পায় তখন অনেক ভালো লাগে। এটা গর্বের ব্যাপার। দেশের সম্মান বাড়ে। ভবিষ্যতে আশা করি এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং দলের খেলোয়াড়দের জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, রংপুর রাইডার্সের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে আছে। অনুষ্ঠানের জন্য এই হলটি (নবরাত্রি) বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হলে সঙ্গে সঙ্গেই অনুমতি দেন তারা। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড. আবুল হোসেন মো. সাদেক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাণী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ বশীর ও ইনফিনিটি মেগা মলের এমডি মুহাম্মদ জুনায়েদ।
গত বছরের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এ সময় ৩০ পারা গ্রুপের বিজয়ী হিসেবে মুস্তাকিম বিল্লাহ, সানআনির জামান, ওমর ফারুক, সাফওয়ান ও রুহুল আমিন এবং ১০ পারা গ্রুপের সিফাতুল্লাহ মোজাহিদ, ফাহমিদুল হাসান, মো. নাঈম, ইসমাঈল সাবিত ও মো. হুজাইফার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল, খাদিমুল হুফফাজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইলিয়াস, ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি ইকবাল কবীর মোহন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী, মাওলানা মিজানুর রহমান, মুহিউদ্দিন কাসেম, ড. মনজুরে ইলাহী, মাওলানা লিয়াকত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসএ/এমএ