তেমনই একটি বিষ ফোঁড়া ভর করেছে রাজধানীর বাসাবো এলাকার মানুষের ঘাড়ে। বাসাবো বিশ্বরোড থেকে নন্দীপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে গত কয়েক মাস ধরে।
সিটি করপোরেশন বলছেন গত তিনমাস আগে সড়ক উন্নয়নের এই কাজ শুরু হয়েছে। যা আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান তারা। তবে এলাকাবাসির দাবি গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাস্তার খোঁড়াখুড়ি। একসঙ্গে মূল সড়কের খোঁড়াখুড়ি আর এর সঙ্গে ছোট সড়কের উন্নয়ন কাজ চলায় জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় বেসরকারি চাকরিজীবী দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, বাসাবোর মানুষ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উন্নয়ন কাজের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চার পাশের রাস্তা খোঁড়াখুড়ি চলছে। কোন দিক দিয়ে বের হওয়ার উপায় নেই। তার উপর কাজও চলছে ধির গতীতে। এই যেমন আজকে (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেখেলাম আব্দুল আজিজ স্কুলের সামনে রাস্তা খোঁড়ার যন্ত্র নষ্ট থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাসাবো এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এলাকাবাসীর সিমাহীন দুর্ভোগের এ চিত্র। কোথাও সড়কে সংষ্কারের খোয়া-বালি আবার কোথাও সুয়ারেজের পানির পাইপ। এতে মূল সড়কের মাত্র ২-৩ ফুট জায়গা রয়েছে হাঁটার জন্য। বাকিটা উন্নয়ন সামগ্রীর দখলে। ফলে এসব সড়কে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
বাসাবো টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে আগমন সিনেমা হল, পাটোয়ারী গলি, মাদারটেক চৌরাস্তা হয়ে নন্দীপাড়া সেতু পর্যন্ত পুরো সড়ক খুড়ে রাখা হয়েছে। এর কোথাও ইটের খোয়া আবার কোথাও সুয়ারেজের পানির পাইপ রাখা হয়েছে। এনিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে দাবি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া।
ক্ষুব্ধ বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় চার বছর ধরে রাস্তাটা খারাপ। এর মধ্যে সংষ্কারের কাজ হয়নি। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশন থেকে মাটি, ইটের টুকরা ফেলে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। হাঁটার মতো পরিস্থিতিও নেই এ রাস্তায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর গোলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক বড় এলাকা। এজন্য কাজে একটু দেরি হচ্ছে। তবে সিটি করপোরেশন দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
এ এলাকার দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) মোহাম্মদ আবু নঈম বাংলানিউজকে বলেন, এখানের অবস্থা খুবই খারাপ, সেটা আমরাও জানি। তবে আগামী মার্চের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চাপে রাখা হয়েছে। আশা করছি এর মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসআইজে/জিপি