ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণা শেষই হচ্ছে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণা শেষই হচ্ছে না ইট-বালু ফেলে প্রায় পুরো রাস্তাই বন্ধ, একপাশ দিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীদের-ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: এমনিতেই ফাল্গুন মাসের শুষ্ক বাতাসে ধূলিকণার আধিক্য থাকে বেশি। তার উপর রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। রাজধানীর অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো মোহাম্মদপুর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডেও চলছে রাস্তা, ড্রেনেজ ও ফুটপাত মেরামতের কাজ। এর কোনোটির কাজ শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। সেগুলোর কাজ শেষ না হতেই আবার কোনোটির কাজ শুরু হয়েছে নতুন বছরের শুরুতে।

রাস্তা কাটার পর সেই রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে শামুক গতিতে। মোহাম্মদপুরের আদাবর প্রধান সড়ক, তাজমহল রোডের বিভিন্ন গলিতে এখন নতুন করে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে।

অন্যদিকে আদাবর প্রধান সড়কে প্রায় ৩ মাস ধরে ফুটপাত সংস্কারের কাজ চলছে, যার অর্ধেকও শেষ হয়নি এ তিন মাসে। এভাবে পালাক্রমে রাস্তা কাটার ফলে চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রাসহ ওই এলাকার সড়ক ব্যবহারকারীরা।
 
রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে চরম বিড়ম্বনার কথা জানান ফজলুল হক বাবু। তিনি বলেন, তাজমহল রোডের ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২৩ সবগুলো লাইন (গলি) প্রায় তিন মাস ধরে কেটে রেখেছে। এক রাস্তার কাজ শেষ করে আরেক রাস্তায় কাজ ধরলে এতোটা দুর্ভোগ হতো না। এখন এমন অবস্থা হয়েছে বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। রাস্তায় যেমনি ধুলা তেমনি আবার গর্ত।
 
সরেজমিনে তাজমহল রোডের ‘ডি’ ব্লকে দেখা গেছে, পাশের রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে লেভেলিং না করে নতুন করে আরেক রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে। এতে ওই দুই রাস্তার কোনো বাড়ি থেকেই প্রাইভেটকার বা অন্য কোনো গাড়ি বের হতে পারছে না। রাস্তা দিয়ে মানুষ হেঁটে যাবে সে অবস্থাও নেই। কেননা রাস্তা খুঁড়ে এমন গর্ত করা হয়েছে কাঠ বা বাঁশের চাঁটাই ছাড়া পার হওয়া যায় না।
 
২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন বাংলানিউজকে বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী ৩১ মার্চের মধ্যে সব কাজ শেষ হওয়ার কথা, তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ না হলেও চলাচল উপযোগী হবে।
 
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ পর্যায়ে। দু’একটি জায়গায় উচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তা থাকায় হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে আমাদের টার্গেট মার্চের প্রথম সপ্তাহে সব কাজ শেষ করা’।
 
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ঢাকার সব রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এর ব্যত্যয় হলেই জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।