রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে লক্ষ্মীপুর সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
নিহত পলাশ দৈনিক রূপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সম্পাদক-প্রকাশক পরিষদের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দৈনিক আলোকিত লক্ষ্মীপুরের সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজ উল্যাহ, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, একিউএম সাহাবুদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান, আফজাল হোসেন সবুজ, আলী হোসেন, জহিরুল ইসলাম শিবলু, নুর মোহাম্মদ, তোফায়েল আহম্মেদ, একেএম মিজানুর রহমান, প্রভাষক মানছুর রহমান, রজিব-উজ-জামান, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মিঠু, আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময় সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা খুন ও নির্যাতিত হয়েছে। সাংবাদিকের খুন, নির্যাতন, অপহরণ ও গুম আর সহ্য করা হবে না। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা রাস্তায় নেমেছে। পলাশ একজন মেধাবী সাংবাদিক ছিলেন। এ তরুণ সাংবাদিকের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাংবাদিক পলাশকে তার দুই চাচাতো ভাই পিটিয়ে আহত করে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পলাশ। পরে এদিন রাতেই নিহতের বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় আবু ইউছুফ, আবু ছায়েদ ও ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আসামি করে মামলা করেন। এদের মধ্যে ফয়েজুনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসআর/আরআইএস/