তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মেধা একটু কম থাকলেও তারা যদি লিখিত পরীক্ষায় পাস করে তবে তাদের সরকারি চাকরি দিতে হবে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ ও প্রজন্ম মঞ্চ' আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির কোটা বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের রিটের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
২০ বছর পরে দেশে মুক্তিযোদ্ধা থাকবে না- এমন মন্তব্য করে নৌমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ বছর পর এদেশে মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। তখন গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন। তারা মুক্তিযোদ্ধার চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবেন না। সে কারণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা চালু করেছেন, যাতে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা সমুন্নত থাকে।
‘দেশে বর্তমানে পুলিশ ও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে এখনও রাজাকারদের সন্তান খুঁজে পাওয়া যায়। স্বাধীনতাবিরোধী এ গোষ্ঠীর সন্তানদের নিয়ে প্রশাসন চালানো যায় না। তাদের দিয়ে প্রশাসন চললে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধ্বংস হয়ে যাবে। ’
শাজাহান খান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই তোমরা চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা পেয়েছো। তবে তোমাদের এ কোটা ধরে রাখতে হলে দেশে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভবিষতে যদি বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস থাকবে না। সামনের নির্বাচনে তারা যেন জয় না পায় এজন্য আইন দিয়ে নয়, ভোটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বিচারপতিদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের রিটের বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। এবং মামলাটি তুলে নেবেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি এএনএম ওয়ালীউর রহমান মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমএএম/এএ