ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘চা ও চা-জাত পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
‘চা ও চা-জাত পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিন’ বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: চা ও চা-জাত পণ্য বহুমুখীকরণ এবং চায়ের গুণগত মান ও ‍উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গবেষণা জোরদার করার নির্দেশনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ৩০০ ফুট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী- ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সাতকড়া চা, লেমন চা, মশলা চা, জিনজার চা, তুলসি চা এবং টি সোপ, টি শ্যাম্পু, টি টুথপেস্ট, টি কোলা, চা এর আচারসহ বিভিন্ন ধরনের চা, চা-জাত পণ্য ও প্রসাধন সামগ্রীর  কথা উল্লেখ করে  চা এবং চা-জাত পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বরোপ দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

চা মোড়কজাত ও বাজারজাতকরণেও নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার ও পেস্টিসাইডস ব্যবহার না করে অর্গানিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশে চা উৎপন্ন করতে হবে।  

প্রধানমন্ত্রী চায়ের গুণগত মান ও উৎপাদন বৃদ্ধি, পোকামাকড় দমনে নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনসহ ফ্লেভার্ড চা এর বিষয়ে গবেষণাকে জোরদার করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টদের।

চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিতে বাগান মালিকদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর চা খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু মালিকদের নয়, চা শ্রমিদের কল্যাণেও কাজ করেছি। কারণ তারাই তো (শ্রমিক) মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চায়ের উৎপাদন করেন, পাতা তুলেন, বাগানের পরিচর্যা করেন। তাদের কল্যাণে বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতি আপনাদের নজর দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকরাও বেশ আন্তরিকতা দিতে তাদের কাজটুকু করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।  

আরও পড়ুন>>
** 
চা শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
 
চা চাষ, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, চা শ্রমিক ও মালিকদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে চা উৎপাদন ও মান বৃদ্ধির কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন ছিলো ৩ কোটি কেজি। বর্তমানে এর উৎপাদন ৮ কোটি ৫০ লাখ কেজি। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সাল নাগাদ চায়ের উৎপাদন ১৪ কোটি কেজিতে পৌঁছাবে।

‍চা উৎপাদন, বাজারজাত, বহুমুখীকরণসহ সাতটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ সাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মতিঝিলে চা বোর্ডের নিজস্ব জায়গায় ৩০ তলা ‘বঙ্গবন্ধু চা ভবন’ নির্মাণের ভিত্তি ফলক উদ্বোধন করেন।

আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি-২ বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত এ চা প্রদর্শনী চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখানে বিভিন্ন চা ও চা-জাত পণ্যের পাশাপাশি গবেষণার উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গবেষণা করে চা ক্লোন বিটি-২১ উদ্ভাবন করে। ক্লোনটি লাল মাকড় প্রতিরোধী ও খরা সহিষ্ণু আর্দশ ক্লোন। এ ক্লোনটি অধিক উৎপাদনশীল। প্রধানমন্ত্রী উদ্ভাবিত বিটি-২১ ক্লোনটি অবমুক্ত করেন অনুষ্ঠানে।

পরে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমইউএম/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।