এ ঘটনায় নিহত কবির খাঁ’র স্ত্রী জোপি বেগম বাদী হয়ে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অজ্ঞাতদের আসামি করে পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে পূর্ব চররোসুন্দি গ্রাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব চররোসুন্দি গ্রামে একদল ডাকাত হানা দেয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কবির খাঁকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে। রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহগনি বাগানের মধ্য থেকে কবিরকে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে রাত ৩টার সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন সকাল সাড়ে ৭টার সময় কবির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী জোপি বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ১ মাস আগে তিনি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হুমায়ুন কবির মোবাইল ফোনে জানান, আমার স্বামীর মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আছে। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি। আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় রোববার দুপুরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ