রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ অভিযোগ করছেন সরকার ইচ্ছা করে বিলম্ব করাচ্ছে- এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, উনি অনেক কিছু অভিযোগ করতে পারেন।
‘মওদুদ আহমদ আইনমন্ত্রী থাকাকালীন আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার পাইনি। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করার কোনো পদক্ষেপ পাইনি। আমরা দেখেছি যে আত্মস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর খুনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন। ’
আইনমন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমদ ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত যখন এরশাদের পার্টিতে ছিলেন তখন কিন্তু খালেদা জিয়াকে ঠিক এভাবে, এসব কারণেই বিচার করেছিলেন। ওনারা কী বললেন তা নিয়ে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটাইনি। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ স্বাধীন বিচার বিভাগের একটি আদালতের এখতিয়ার। রায়ের কপি প্রস্তুত হলে নিশ্চয় দেবেন। না দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।
‘একজন আইনজীবী হিসেবে এটুকু জানি এবং বুঝি ৬৩২ পাতা তৈরি করতে একটু সময় লাগে, রিজনেবল টাইম যদি নেয়। আনরিজনেবল টাইম যদি নেয় সেখানে আমি বলবো নেওয়া উচিত না। আনরিজেনবল দেরি করাটা ঠিক না। রিজনেবল টাইম যদি নেয় তাহলে তাকে তো সেই সময় দিতে হবে। ’
ইউএনডিপির এই আবাসিক প্রতিনিধি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে এটা প্রথম সাক্ষাৎ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং শিশুদের অধিকার আইন, সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়ে ওনারা জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমরা আলাপ-আলোচনা করলাম। যে কোনো ব্যাপারে এসব প্রস্তুতির সময় অভিজ্ঞতার ব্যাপার দরকার হলে ইউএনডিপি আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ’
রাজনৈতিক বিষয় বা খালেদা জিয়া নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ কিন্তু পরিবর্তন করা হয়নি। কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশেনে আপনাদের আগের যে অভিজ্ঞতা তার বাইরে চলে গেছে। এখন কিন্তু সেই অপব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার ও অপব্যবহারের কথাও হচ্ছে প্রশ্ন। আমরা যেটা করেছি সেখানে অপব্যবহারের সুযোগ কমিয়ে এনেছি। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অপব্যবহারের সুযোগ যদি আরো কমানোর দরকার হয়, আমরা সেটাও করবো।
সোমবার খালেদার রায়ের কপি দেয়ার আশ্বাস বিচারকের
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ