এ সময় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫ থেকে ২০টি জেটি উচ্ছেদ করে ও ১০ বাল্কহেড চালককে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শীতলক্ষ্যার তীরবর্তী কাঁচপুর থেকে শুরু করে ডেমরা, রূপগঞ্জের টাটকি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তি এ দণ্ড দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলী, উপ-পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক পারভেজ আহাম্মেদ, শাহআলম, কাঁচপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) নেওয়াজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বাংলানিউকে জানান, অভিযানের সোনালী পেপার মিল, স্ক্যান সিমেন্টের অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ জেটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া বৈধ কাগজপত্র ও ফিটেনেস না থাকায় ১০ বালু ও সিমেন্টবাহী বাল্কহেডকে চালককে জরিমানা করা হয়। প্রত্যেক বাল্কহেড চালককে ৩০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। অভিযান চলবে। শীঘ্রই শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর অবৈধ দখলগুলোতে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ অগ্রদূত, ১টি এক্সাভেটর (ভেকু), ১টি টাগবোটসহ উচ্ছেদ কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসআরএস