রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উৎসবের ইভেন্ট অর্গানাইজার ‘কাঠ পেন্সিল’র কার্যনির্বাহী পরিচালক আব্দুস ছালাম বাংলানিউজের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন। এ নিয়ে পরপর চারবার বাংলানিউজ এ উৎসবের আয়োজনে চুক্তিবদ্ধ হলো।
আব্দুস ছালাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১১ সাল থেকে তারা বেনাপোল পৌরসভার পক্ষে দুই বাংলার একুশে উদযাপনের মঞ্চসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরিতে কাজ করে আসছেন। এবারও তারা আকর্ষণীয়ভাবে সব আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আয়োজনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্তের খবর ভাষাপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে এবারও আমরা জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজকে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সঙ্গে পাচ্ছি। উৎসবের আয়োজনে বেনাপোল পৌরসভার সঙ্গে থাকছে ভারতের বনগাঁ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
‘কাঠ পেন্সিল’র কার্যনির্বাহী পরিচালক জানান, উৎসবস্থলে বর্ণমালা গ্যালারি ও বইমেলার আয়োজন থাকছে। যা ভাষা উৎসবকে প্রাণবন্ত এবং দুই বাংলার মানুষকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। উৎসবটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূরণভাবে সম্পন্ন করতে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনে বাংলানিউজকে বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একুশে উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে কাজ শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠান সার্থক করতে পরস্পরকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুই বাংলার বিশেষ ব্যক্তিদের ‘ভাষা উৎসবে’ আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
মাতৃভাষা দিসব উদযাপনে গত বছর থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে একটি মঞ্চ তৈরি হয়ে আসছে। এবারও তেমন মঞ্চ হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২১শে মঞ্চ’।
২০০৪ সালে সর্বপ্রথম বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমি ও ওপারের বনগাঁ ২১ উপযাপন কমিটির প্রচেষ্টায় দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে ভাষা দিবস উদযাপনের সূচনা হয়। ২০১১ সাল থেকে বেনাপোল ও বনগাঁ পৌরসভা এ আয়োজন করে আসছে। বছরের এ দিনের অপেক্ষায় প্রহর গোনে সীমান্তের উভয়পাড়ের বাংলাভাষী হাজারো মানুষ। আয়োজনে দুই বাংলার হাজারো ভাষাপ্রেমী অংশগ্রহণে তা মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এজডএইচ/এএটি/এইচএ/