রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক এ তথ্য উঠে এসেছে।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভূক্তি ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ার বিষয়ে জামুকাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সবিচালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভূক্তির জন্য নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সারা বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ও সরাসরি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০ আবেদন পাওয়া যায়। যেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪৭০টি কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে ৩৭৩টি কমিটি তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে ৯৭টি কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
কমিটিকে দেওয়া গোপন নথিতে জামুকা বলেছে, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে প্রশাসক নিয়োগের পর নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা উঠেছে, যে কারণে অন্য কমিটির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রাখা রয়েছে।
নথিতে আরো বলা হয়েছে, নতুন আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্ত করতে ইতোমধ্যে ৪৯টি সভা করেছে জামুকা। সভাগুলোয় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ১৮৫ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা), ১৭৪ জন শব্দ সৈনিক ও তিনজন মুজিবনগর কর্মচারীর নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভূক্তির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে জামুকা দাবি করেছে, ‘যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে তালিকায় কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভূক্তির সম্ভাবনা থাকবে না বা কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদও পড়বে না। ’
বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাকালে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে পদাধিকার বলে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃত দেওয়ার ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব দেন কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সঙ্গে আরো অংশ নেন কমিটির সদস্য ইকবালুর রহীম ও কামরুল লায়লা জলি। এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে দেওয়া সম্পত্তির লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে ওঠে। এ ব্যাপারে কমিটির অভিমত, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উক্ত জমির সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসএম/এএ