রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে ঘোষণা দেয় পাঠাও। এখন থেকে পাঠাওতে নিয়মিত ট্রিপ দেবেন সাইফুল।
উবার ছাড়ার পর মাঝে বেশ কিছুদিন তিনি ‘রেন্ট-এ কারে’ গাড়ি চালিয়েছেন।
উবার ঢাকায় তাদের একবছর পূর্তিতে ড্রাইভারদের সাফল্য হিসেবে সংবাদমাধ্যমে সাইফুল ইসলামকে তুলে ধরেছিলো। কোম্পানিটি তাদের অ্যাপস ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইফুলকে নিয়ে ব্যাপক প্রচারণাও চালিয়েছিলো।
এর কিছুদিন পরই উবারের ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণে কষ্ট পেয়ে প্লাটফর্মটি ছাড়ার ঘোষণা দেন সাইফুল। অথচ তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকার অনেক প্রাইভেটকার চালক উবারে যোগ দিয়েছিলেন। তারাও এরপর থেকে উবারে অনিয়মিত হওয়ার কথা জানান।
এবার আরও অনেক চালক শিগগির পাঠাও অ্যাপসে নিয়মিত হবেন বলে জানান সাইফুল।
সাইফুল বাংলানিউজকে জানান, দেশীয় অ্যাপস পাঠাওতে এখন আগের মতো রাইড শেয়ারিং করবেন তিনি। পাঠাও অ্যাপসে ব্যবহারকারীর ও চালকদের জন্য বেশি সুবিধা থাকায় তিনি এই প্লাটফর্মে যোগ দিয়েছেন।
আর আগের মতোই ঢাকার রাস্তায় অ্যাপভিত্তিক সেবা জনপ্রিয় করতে কাজ করবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর ১৮ অক্টোবর টপ পার্টনার হিসেবে উবার সাইফুলের নাম ঘোষণা করে।
সাইফুল উবারে প্রায় ২ হাজার ট্রিপ দিয়েছিলেন, যার বেশিরভাগ ছিলো ৫ স্টার মানের। দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যাপভিত্তিক সেবায় এমন ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছিলেন উবারের ঢাকা ও কলকাতার জেনারেল ম্যানেজার অর্পিত মুন্দ্রা।
ঢাকায় ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে পাঠাও। মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই কোম্পানি। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে এখন পাঠাওয়ের মোটরসাইকেল সেবা জনপ্রিয়।
তবে এদের আগে ২০১৬ সালের ৭ মে বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং দিয়ে মোবাইলভিত্তিক পরিবহন সেবার যুগে প্রবেশ করে ঢাকা। ‘স্যাম’ অ্যাপ প্রথম ঢাকায় মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং শুরু করে। পরে উবার ট্যাক্সি ও পাঠাও অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল ও ট্যাক্সি সেবা চালু করে। এর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পাঠাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসএ/জেডএস