তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, বয়স্ক জনিতকারণে স্ট্রোক করে মারা যান ওই বৃদ্ধা।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বোডের বাজারস্থ ভান্ডার পাইকাড় শেখ মুজিব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
রহিমা একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিহারা উত্তরপাড়ার মফিজ উদ্দিন সেখের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল ৮টা থেকে একটি মাত্র কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্টরা স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু করেন। যদিও বিগত দিনে এ ইউনিয়নে দু’টি কেন্দ্র থেকে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা তাদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পাল্টে একটি মাত্র কেন্দ্র থেকে স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেন। ফলে সকাল থেকেই ওই কেন্দ্রে প্রচণ্ড ভিড় জমে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের ভিড় আরও বাড়তে থাকলে বেড়ে যায় চাপ। এতে একটি কার্ডের জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
তাদের মধ্যে ছিলেন বৃদ্ধা রহিমা বেগম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে একপর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনার কারণে ওই বৃদ্ধা মারা গেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শেখেরকোলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে বৃদ্ধা রহিমা বেগম তার ছেলেকে নিয়ে কেন্দ্রে স্মার্ডকার্ড নিতে আসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ওই বৃদ্ধাকে সঙ্গে করে নিয়ে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট কক্ষে যাই। সেখানে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে গিয়ে ওই বৃদ্ধা স্ট্রোক করেন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এতে তাদের কোনো গাফলতি ছিলো না। মূলত বয়সের কারণেই বৃদ্ধা রহিমা বেগম মারা গেছেন যোগ করেন মেম্বার এমদাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমবিএইচ/এসআরএস