এ অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার আমিনুর ও স্টাফ ইউসুফকে আটক করে।
মৃত পুতুলী শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঝর গ্রামের শিবেনের স্ত্রী।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সন্ধ্যায় মৃতের স্বামী শিবেন থানায় অভিযোগ দিলে রাত ৯টার দিকে পুলিশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর থানায় আনে।
তিনি আরও জানান, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে প্রসব বেদনার কারণে ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরও কর্তৃপক্ষ আইনের চরম ব্যতয় ঘটিয়ে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করায়। ভোরে তার অস্ত্রপচার করানো হয়। এতে প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
কিন্তু শজিমেক কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে নিয়ে আসার অনেক আগেই প্রসূতি মারা যায়।
এ ঘটনার পর থেকেই পালস জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা. আকতারুল আলম আজাদসহ সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দিয়েছেন, বলে জানায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এমবিএইচ/বিএসকে/এনএইচটি