রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মাস্টার বাংলানিউজকে জানান, প্রায় একমাস ধরেই যমুনায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর মোল্লার চর, ব্যাটারির চর, কৈটোলা চর, চর পেঁচাকোলা ও মোহনগঞ্জ এলাকায় পানির গভীরতা কমে গেছে।
বন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ড্রেজিং না করার কারণে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের সমস্যা হলেও কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ড্রেজিং করে না।
লেবার এজেন্ট আবুল হোসেন ও আব্দুল মজিদ জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে গত একমাস ধরে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সরাসরি কোন জাহাজ ভিড়তে পারেনি। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম অন্তত দিগুণ কমে গেছে।
লেবার সরদার লুৎফর রহমান বলেন, বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে জাহাজ ভিড়তে না পাড়ায় তাদের প্রায় পাঁচ থেকে সাত’শ শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এ মৌসুমে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ঘাটে প্রতিদিন ১২’শ থেকে ১৩’শ শ্রমিক কাজ করতো। আর এখন মাত্র আড়াই’শ থেকে তিন’শ শ্রমিক কাজ করছে।
বাঘাবাড়ি পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, যমুনায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে দুই থেকে এক দিনের মধ্যে নৌ চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে লাইটারেজের মাধ্যমে দিনে দুই থেকে তিনটি জাহাজ নৌবন্দরে ভিড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
বিএসকে